এম এম লিংকন: [৩] ৭৩ বছর বয়সে মারা গেছেন ঔপন্যাসিক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। রোববার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে পান্না কায়সারের তৃতীয় জানাজা হবে। 

[৪] শুক্রবার (৪ আগস্ট ) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী ও জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।

[৫] তার পরিবার জানিয়েছে ,শুক্রবার আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে পান্না কায়সারের মরদেহ রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের গাউস নগর আবাসিক বাসায় আনা হয়। এ সময় জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরসহ সাহিত্যিক, শিল্পী, প্রকাশকসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাদ আসর বাসার সামনে পান্না কায়সারের দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

[৬] নিউ ইস্কাটনের বাসায় শমী কায়সার বলেন, মা একজন মহীয়সী নারী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ে তুলতে আজীবন কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন পান্না কায়সারের ছেলে অমিতাভ কায়সার। 

[৭] পান্না কায়সার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছে। তিনি একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। 

[৮] পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রথম গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে। এছাড়া তিনি লিখেছেন; আমি ও আমার মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ-সমগ্র, একাত্তরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার, মুক্তি, হৃদয়ে একাত্তর, মুক্তিযুদ্ধের কথকতা, হৃদয়ে বাংলাদেশ, প্রভৃতি।

[৯] ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শহরে কারফিউ’র মধ্যে শহীদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ কায়সারকে নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর শহীদুল্লাহ কায়সার আর ফিরেননি।  সম্পাদনা: ইকবাল খান